কোনো শীর্ষক নেই

 অনুবাদ সাহিত্য

মধ্যযুগের কবিরা পয়ার ছন্দে অনুবাদ সাহিত্য ভাবানুবাদ করতেন । পুরাণ কাহিনীগুলো মূলত অনুবাদ করতেন হিন্দু কবিরা আর মুসলমান কবিরা ফারসি, হিন্দি, সংস্কৃত প্রভৃতি ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন। কবিরা মূল কাহিনী ঠিক রেখে মাঝে মাঝে নিজেদের মনের কথা অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

√ অনুবাদ সাহিত্যে হিন্দু লেখকদের অনুবাদকৃত সাহিত্যের নাম ‘সাহিত্যের কথা'।

√ মুসলমান সাহিত্যিকদের অনুবাদকৃত সাহিত্যের নাম ‘রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান'।

প্র. মহাভারত কে রচনা করেন?

উ. মহাভারত রচিত হয় প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে, যা সংস্কৃত ভাষায় রচিত। ১৮ খণ্ডে ও ৮৫০০০টি শ্লোকে বেদব্যাস ‘সংস্কৃত’ ভাষায় এটি রচনা করেন। পাণ্ডব বংশের পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে কুরু বংশের ১০০ ভাইয়ের যুদ্ধের কাহিনী নিয়ে কৃষ্ণ দ্বৈপায়ণ বেদব্যাস রচনা করেন মহাভারত। বেদ বাক্য ব্যাখ্যা করার কারণে কৃষ্ণ দ্বৈপায়ণ এর নাম হয় ‘বেদব্যাস'। বেদব্যাস হিমালয়ের এক পবিত্র গুহায় তপস্যা করার পর মহাভারতের সম্পূর্ণ ঘটনাটি স্মরণ করেন এবং গণেশ তা লিপিবদ্ধ করেন।

প্র. মহাভারত প্রথম বাংলায় কে অনুবাদ করেন?

উ. ষোল শতকের কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর। তিনি সুলতান হোসেন শাহের সেনাপতি চট্টগ্রামের পরাগল খানের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি অনুবাদ করেন বলে এর নামকরণ করেন ‘পরাগলী মহাভারত'।

প্র. মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কে?

উ. সতের শতকের কবি দেব বংশের কাশিরাম দাস। তার অনূদিত বিখ্যাত পঙ্ক্তি-

নে শোনে পুণ্যবান।'

প্র. ‘ছুটিখানী মহাভারত' কে রচনা করেন?

উ. পরাগল খার পুত্র ছুটি খানের (প্রকৃত নাম- নসরত খান) নির্দেশে শ্রীকর নন্দী এটি রচনা করেন। তিনি শুধু অশ্বমেধপর্ব অনুবাদ করেন।

প্র. রামায়ণ কে রচনা করেন?

উ. সংস্কৃত ভাষার প্রাচীন মহাকাব্য রামায়ণ। এটি রচনা করেন বাল্মীকি। তাঁর মূল নাম দস্যু রত্নাকর। এটি ২৪ হাজার শ্লোকে রচিত এবং ৭টি কাণ্ডে বিভক্ত ( আদিকাণ্ড, অযোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড, কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সুন্দরকাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড ও উত্তরকাণ্ড)।  শ্লোকগুলো ৩২ অক্ষরযুক্ত ‘অনুষ্টুপ' ছন্দে রচিত। এ কাব্যের উপজীব্য হল বিষ্ণুর অবতার রামের জীবনকাহিনী ৷ ‘বল্মীক' শব্দের অর্থ উইপোকা। দস্যু রত্নাকর উইপোকার ঢিবির উপর বসে রাম নামের তপস্যা করতেন বলে তার নাম হয় বাল্মীকি ।

প্র. রামায়ণের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কে? [১৫তম বিসিএস লিখিত]

উ. কৃত্তিবাস ওঝা । কৃত্তিবাসের রামায়ণের অন্য নাম 'শ্রীরাম পাঁচালী'।

প্র. রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক কে? [১৩তম বিসিএস লিখিত]

উ. চন্দ্রাবতী। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি।

প্র. ‘ভাগবত’ সম্পর্কে কী জান?

উ. ‘ভাগবত’ একটি ভক্তিবাদী ধর্মগ্রন্থ, যা হিন্দুদের মহাপুরাণ হিসেবে পরিচিত। বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার কৃষ্ণের প্রতি গভীর ভক্তিই এ পুরাণের আলোচ্য বিষয়। হিন্দু পৌরাণিক সাহিত্যের অনেক কাহিনীর মধ্যে বিষ্ণুর ২৪ জন অবতারের কাহিনী ভাগবত পুরাণে লিপিবদ্ধ আছে। এটি ১২ খণ্ড ও ৬২০০০ শ্লোকে লিপিবদ্ধ। এর রচনাকাল নবম-দশম শতাব্দী। এটিই প্রথম হিন্দু পুরাণ, যা ইউরোপীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।


প্র. ‘ভাগবত’ বাংলায় কে অনুবাদ করেন?

উ. এটি ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়' (১৪৮০) নামে বাংলায় অনুবাদ করেন  মালাধর বসু। এ অনুবাদের জন্য রুকনুদ্দিন বরবক শাহ  তাকে ‘গুণরাজ খান' উপাধি প্রদান করেন।  [অষ্টাদশ  শতকের কবি শিবানন্দ করের উপাধিও ছিল ‘গুণরাজ খান'



Diidjdhuhhhuddu hdudhhddhh


রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান

 বাংলা অনুবাদ কাব্যের সূচনা হয় মধ্যযুগে। মুসলমানরা বাংলা  ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় এগিয়ে আসে সুলতানি আমলে। মধ্যযুগের  বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিগণের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য  অবদান রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান। প্রাচীন ও মধ্যযুগে হিন্দু-  বৌদ্ধ রচিত বাংলা সাহিত্যে দেব-দেবীই প্রধান ছিল, মানুষ ছিল  অপ্রধান। মুসলমান রচিত বাংলা সাহিত্যেই প্রথম মানুষ প্রাধান্য  পায়। ফারসি বা হিন্দি সাহিত্যের উৎস থেকে উপকরণ নিয়ে  রচিত অনুবাদমূলক প্রণয় কাব্যগুলোতে প্রথমবারের মতো  মানবীয় বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে।

প্র. বাংলা ভাষার প্রথম মুসলিম কবি কে? [২৫তম বিসিএস লিখিত]

উ. শাহ মুহম্মদ সগীর। তিনি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম বাঙালি মুসলিম কবি ৷

প্র. রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য কী? (৩০তম বিসিএস লিখিত]

উ. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মুসলিম কবিদের সবচেয়ে  উল্লেখযোগ্য অবদান রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান। চতুর্দশ  শতকের শেষ দিকে ও পঞ্চদশ শতকের প্রারম্ভে বাংলা  সাহিত্যে মুসলিম কবিদের প্রথম পদার্পণ ঘটে। এ  কাব্যধারার বৈশিষ্ট্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো-  

১. প্রাচীন ও মধ্যযুগের ধর্মকেন্দ্রিক ও দেবতাকেন্দ্রিক রচনা ছেড়ে  এ কাব্যে প্রথমবারের মতো মানবীয় বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়।  

২. এগুলো বাংলা ও বাঙালির কাহিনী নয়, বাইরে থেকে অনুবাদ  করে নিজস্ব রূপ দেয়া।  

৩. গতানুগতিক সাহিত্যধারার বাইরে নতুন ভাবনা-চিন্তা ও রস-  মাধুর্যের পরিচয় প্রকাশ করা।

প্র. ‘ইউসুফ জোলেখা’ কে অনুবাদ করেন? [২৭/১৫/১০তম বিসিএস লিখিত]

উ. শাহ মুহম্মদ সগীর। তিনি আবদুর রহমান জামি রচিত  ‘ইউসুফ ওয়া জুলায়খা’ (তথ্যসূত্র: ওয়াকিল আহমেদ সম্পাদিত  ‘বাংলা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান' এর অন্তর্ভুক্ত 'ইউসুফ  জোলেখা', যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সম্মান শ্রেণির  পাঠ্য) থেকে বাংলায় ‘ইউসুফ-জোলেখা' নামে অনুবাদ  করেন। এ কাব্যের পটভূমি ইরান।

প্র. ‘ইউসুফ জোলেখা' কাব্যের কাহিনী সংক্ষেপে লেখ।

উ. ইউসুফ জোলেখা কাব্যের কাহিনী:  তৈমুর বাদশা দেবধর্ম আরাধনা করে এক কন্যারত্ন লাভ  করেন; তাঁর নাম রাখেন জোলেখা। অসামান্য সুন্দরী  জোলেখা পর পর তিনবার দেবতুল্য এক যুবাপুরুষকে স্বপ্নে  দেখে তাঁর প্রণয়াসক্ত হন। স্বপ্নের নির্দেশমতো জোলেখা  কিন্তু  মিশরের বাদশা আজিজ মিশিরকে বরমাল্য দিলেন,  আজিজ মিশির স্বপ্নদৃষ্ট ব্যক্তি ছিলেন না। দৈববাণী কর্তৃক  আশ্বাস লাভ করে জোলেখা ভারাক্রান্ত মন ও প্রণয়পীড়িত  দেহ নিয়ে কালযাপন করেন। এদিকে কেনান দেশের ইয়াকুব  নবীর পুত্র ইউসুফের ভবিষ্যৎ সৌভাগ্যের ও কৃতিত্বের  ঈর্ষাকাতর বৈমাত্রেয় দশ ভ্রাতা তাকে কুপে নিক্ষেপ করে  হত্যা করার চেষ্টা করে। মনিরু নামের মিশরবাসী এক বণিক  ইউসুফকে কুপ থেকে উদ্ধার করে মিশরে নিয়ে যান এবং  দাসরূপে বিক্রয় করেন। জোলেখার অনুরোধক্রমে আজিজ  মিশির তাকে খরিদ করেন এবং নিজ অন্তঃপুরে নিয়ে যান।  ইউসুফের রূপমুগ্ধ জোলেখা প্রেমনিবেদন করলে ইউসুফ ধর্ম  ভয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। জোলেখা ছল, প্রতারণা করে  ইউসুফকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন।  কিন্তু কিছুকাল পরে আজিজ মিশিরের স্বপ্ন ব্যাখ্যা করে  ইউসুফ মুক্তিলাভ করেন এবং মিশরের মন্ত্রিত্ব পান। ইউসুফ  দক্ষতার সাথে রাজকার্য পালন করেন এবং আজিজ মিশিরির  মৃত্যুর পর তিনি মিশরের সর্বময় ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের  অধিকারী হন। জোলেখা বৃদ্ধ ও অন্ধত্বপ্রাপ্ত হয়ে ইউসুফের  সাক্ষাতের আশায় পথে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরিশেষে  একদিন সাক্ষাৎ হয় এবং ইউসুফের প্রার্থনায় জোলেখা  হৃতযৌবন ও রূপসৌন্দর্য ফিরে পান। উভয়ে বিবাহ-বন্ধনে  আবদ্ধ হন। যথাসময়ে তারা দুটি পুত্রসন্তান লাভ করেন।  পরপর কয়েক বছর অনাবৃষ্টির কারনে চতুর্দিকে মহাদুর্ভিক্ষ  দেখা দিলো। ইয়াকুব নবী উপায়ন্ত না দেখে স্বীয় পুত্রদের  খাদ্যের সন্ধানে মিশরে প্রেরণ করেন। ইউসুফ অত্যাচারী  ভ্রাতাদের চিনতে পারেন, কিন্তু পরিচয় গোপন করে তাদের  আদর-আপ্যায়ন করেন এবং প্রচুর খাদ্যশস্য দিয়ে বিদায়  দেন। তাঁরা ইবনে আমিনকে নিয়ে দ্বিতীয়বার মিশরে গেলে  ইউসুফ কেবল সহোদর আমিনকে নিজ পরিচয় দেন এবং  ছলে ‘সোনার কাঠা' চুরির অপবাদ দিয়ে বন্দি করে নিজের  কাছে রাখেন। পিতা ইয়াকুবকে মিশরে আনার জন্য  দ্রুতগামী অশ্ব দিয়ে বৈমাত্রেয় ভ্রাতাদের বিদায় করেন।  ইয়াকুব মিশরে উপনীত হলে ত্রিশ বছর পর পিতা-পুত্রের  মিলন হয়। ইউসুফ ভ্রাতাদের রাজকীয় দায়িত্ব দিয়ে মিশরে  রাজত্ব করেন।  কিছুকাল পরে বারহা-তনয়ার সাথে জ্যেষ্ঠপুত্রের এবং নৃপতি  আমির-তনয়ার সাথে কনিষ্ঠপুত্রের বিবাহ দেন। অত:পর ইউসুফ দিগ্বিজয়ে বের হন। অনেক রাজ্য জয়ের পর মৃগয়ার  সময়ে মধুপুরের রাজা শাহাবাগের রূপবতী কন্যা বিভূপ্রভার  সাক্ষাৎ পান। বিভূপ্রভার ঈন্মিত পাত্র ইবন আমিনের সঙ্গে  তার বিবাহ হয়। অপুত্রক শাহাবাল জামাতাকে মধুপুর রাজ্য  দান করেন। ইউসুফ মিশরে প্রত্যাবর্তন করেন। কিছুকাল  পরে ইবনে আমিন ও বিধুপ্রিয়া মিশরে এসে বৃদ্ধ ইয়াকুবের  পদবন্দনা করেন। জোলেখা বিধুপ্রভাকে বরণ করেন।  ইউসুফ মিশরে এবং ইবন আমিন মধুপুরে সুখে রাজত্ব করেন।

প্র. ‘লায়লী-মজনু' কে অনুবাদ করেন? (২৭/১৫/১০তম বিসিএস লিখিত]

উ. দৌলত উজির বাহরাম খান। তিনি পারসিয়ান কবি জামির ‘লায়লা ওয়া মজনুন' থেকে এটি বাংলায় অনুবাদ করেন। এর উৎস আরবি লোকগাঁথা ।

প্র. ‘লায়লী-মজনু' কাব্যের কাহিনী সংক্ষেপে লেখ।

উ. লায়লী-মজনু কাব্যের কাহিনী:  আরবের এক ধনী আমির বহু দয়া-ধ্যান করে একটি পুত্র  সন্তান লাভ করেন, তার নাম রাখেন কয়েস। পাঠশালায়  পড়ার সময়ে মালিক নন্দিনী লায়লীর সাথে কয়েসের সাক্ষাৎ  ও প্রণয় হয়। লায়লীর মাতা লায়লীর প্রেমকথা জানতে  পেরে কুল-কলঙ্কের ভয়ে তার পাঠ বন্ধ করে দেন এবং  কয়েসের সাথে সাক্ষাৎ বা পত্রবিনিময় যাতে করতে না পারে,  তার জন্য সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বন্দিনী লায়লী কেবল  বিলাপ ও অশ্রুপাত করে কালযাপন করে। এদিকে  প্রেমপরাহত কয়েস ভিখারী ছদ্মবেশে লায়লীর সঙ্গে সাক্ষাৎ  করতে এসে ধরা পড়ে এবং মালিকের নির্দেশে প্রহরী কর্তৃক  নির্যাতিত হয় । লায়লীর প্রেমধ্যান করে কয়েস গৃহত্যাগ করে  নজদ বনে আশ্রয় নেয়। প্রেমোন্মত্ত ও বিরহকাতর কয়েসের  নাম হয় 'মজনু' (পাগল)। আমির অনেক চেষ্টা করেও  মজনুর মতি-পরিবর্তন করতে পারেননি।  গৃহে আত্মীয় পরিজন-সহচরী পরিবেষ্টিত থেকেও লায়লী  বিরহ-যন্ত্রনা ভোগ করে ও অনবরত বিলাপ করে। আমিরের  অনুরোধে মালিক লায়লী মজনুর বিবাহে সম্মত হন, কিন্তু  বিবাহবাসরে মজনুর প্রেমোন্মত্ততার কারণে তা ভেঙ্গে যায়।  মজনু নজদ বনে ফিরে যায় এবং লায়লীর প্রেমধ্যান করতে  করতে ঈশ্বরপ্রেমে মগ্ন হয়। আমির আশা ভঙ্গে ও পুত্রশোকে  প্রাণত্যাগ করেন। ইবন সালামের পুত্রের সাথে লায়লীর  বিবাহ হয় বটে কিন্তু বাসরঘরে লায়লীর পদাঘাত পেয়ে  নববর গৃহত্যাগ করে চলে যায়। এক বৃদ্ধার মুখে মজনু  লায়লীর বিবাহ-সংবাদ পেয়ে ‘হৃদয়শোণিতে’ তাকে পত্র  দেয়। লায়লীর পত্র পেয়ে মজনু শান্ত হয়। নয়ফল-রাজ  মৃগয়ায় এসে মজনুকে উদ্ধার করেন এবং মালিককে যুদ্ধে  পরাভূত করে লায়লীকে বন্দি করেন। পরে লায়লীর রূপে  তিনি নিজেই বন্দি হন এবং বিষপান করিয়ে মজনুকে হত্যার  ষড়যন্ত্র করেন। সাকির প্রমাদে বিষমিশ্রিত পানীয় পান করে  নয়ফল-রাজ মৃত্যুবরণ করেন। পিতা লায়লীকে উদ্ধার করে  নিয়ে যান। কিছুকাল পরে পিতামাতার সাথে শ্যামদেশে  যাওয়ার পথে লায়লী নিজেই উট চালিয়ে নজদ বনে যায়  এবং মজনুর সাথে মিলিত হয়। কলঙ্কের ভয়ে মজনু  লায়লীকে ফিরিয়ে দেয়। বিরহতাপানলে দগ্ধ হয়ে লায়লী  মৃত্যুবরণ করে; শোকে মুহ্যমান মজনুও লায়লীর কবরে  বিলাপ করতে করতে প্রাণত্যাগ করে।



Hjdjdjdjhdhdhdhdh hddjbddhhddhhd



আরাকান রাজসভা

দেব-দেবীদের মাহাত্ম্য কীর্তনে যখন মুখরিত মধ্যযুগের বাংলা  সাহিত্য, তখন বার্মার অন্তর্ভুক্ত 'মগের মুল্লুক' এ আরাকানের  বৌদ্ধ রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের যে  বিকাশ সাধিত হয় তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মায়ানমারের  উত্তর-পশ্চিম সীমায় এবং চট্টগ্রামের দক্ষিণে সমুদ্রের তীরে  আরাকানের অবস্থান। আরাকানকে বাংলা সাহিত্যে 'রোসাঙ্গ'  নামে অভিহিত করা হয়। মধ্যযুগে ধর্মসংস্কারমুক্ত ঐহিক  কাব্যকথার প্রবর্তন করেন মুসলমান কবিগণ এবং তা আরাকান  রাজসভাকে কেন্দ্র করে রূপায়িত হয়ে উঠে। একান্ত মানবিক  প্রেমাবেদন-ঘনিষ্ঠ এসব কাব্য অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এ  সময়ের কবিগণের পুরোধা দৌলত কাজী বাংলা রোমান্টিক  কাব্যধারার পথিকৃৎ হিসেবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

প্র. বাংলা সাহিত্যে আরাকানকে কি বলা হয়?

উ. ‘রোসাঙ্গ'। সপ্তদশ শতকে এ অঞ্চল বাংলা সাহিত্যের ব্যাপক প্রসারে বিশেষ অবদান রাখে।

প্র. আরাকান রাজসভার আদি কবি ও প্রথম বাঙালি কবি কে?

উ. দৌলত কাজী । তিনি লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যের নাম ‘সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী’ । এটি হিন্দি কবি সাধনের ‘মৈনাসত' কাব্য অবলম্বনে তিন খণ্ডে

রচিত।

প্র. আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি কে?

উ. আলাওল। ‘পদ্মাবতী' (১৬৪৮), 'সয়ফুলমূলক বদিউজ্জামাল', ‘হপ্তপয়কর’, ‘সিকান্দরনামা’, ‘তোফা' তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা।

প্র. পদ্মাবতী কে রচনা করেন?

উ. মালিক মুহম্মদ জায়সীর হিন্দি ভাষায় রচিত ‘পদুমাবৎ' অবলম্বনে আলাওল ‘পদ্মাবতী' (১৬৪৮) রচনা করেন।

প্র. ‘চন্দ্রাবতী’ কে রচনা করেন?

উ. কোরেশী মাগন ঠাকুর, তিনি ছিলেন রোসাঙ্গরাজের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আলাওলের 'পদ্মাবতী' ও 'সয়ফুলমূলক বদিউজ্জামাল' কাব্য রচনায় পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন।




Gdihdhdjjddhdj hduuehduejh


যুগ সন্ধিক্ষণ (১৭৬০-১৮৬০)

আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উনিশ শতকের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রিক,  আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিপর্যয়ের মুখে কলকাতার হিন্দু  সমাজে ‘কবিওয়ালা’ এবং মুসলিম সমাজে ‘শায়ের’ এর উদ্ভব  ঘটে। ১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্রের মৃত্যুর পর থেকে ১৮৬০ সালে  আধুনিকতার যথার্থ বিকাশের পূর্ব পর্যন্ত এই ১০০ বছর বাংলা  কাব্যের ক্ষেত্রে উৎকর্ষপূর্ণ কোনো নিদর্শন বিদ্যমান নেই।

প্র. যুগ সন্ধিক্ষণ বলতে কী বোঝায়?

উ. ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের তিরোধানের  মাধ্যমে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে এবং ১৮৬০ সালে  মাইকেলের সদর্প আগমনের মাধ্যমে আধুনিক যুগের সূচনা  ঘটে। এ ১০০ বছর সাহিত্য জগতে চলছিল বন্ধ্যাকাল, ফলে  এ সময়টুকুকে বলে ‘অবক্ষয় যুগ’ বা ‘যুগ সন্ধিক্ষণ'।

প্র. যুগ সন্ধিক্ষণের কবি কে?

উ. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

প্র. কবে কবিওয়ালা ও শায়েরের উদ্ভব ঘটে?

উ. আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উনিশ শতকের প্রথমার্ধে।

প্র. কবিগান কী? । ১৮তম বিসিএস লিখিত]

উ, দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্কের মাধ্যমে যে গান অনুষ্ঠিত হতো  তাই কবিগান। দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতাই এর বৈশিষ্ট্য।  যারা এ গান গাইত (বিশেষত হিন্দু), তাদের বলা হতো কবিয়াল  ১৮৫৪ সালে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত প্রথম কবিগান সংগ্রহ করতে  শুরু করেন এবং 'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকায় প্রকাশ করেন।

প্র. কয়েকজন কবিয়ালের নাম বলুন?

উ. গোজলা গুই (কবিগানের আদি কবি), ভবানী বেনে, ভোলা ময়রা, হরু ঠাকুর, কেষ্টা মুচি, এন্টনি ফিরিঙ্গী, রামবসু, নিতাই বৈরাগী, নিধু বাবু ৷

প্র. শায়ের কারা?

উ. শায়ের আরবি শব্দ এবং এর অর্থ কবি। মুসলমান সমাজে  মিশ্র (দোভাষী) ভাষারীতির পুঁথি রচয়িতাদের শায়ের বলা  হতো। উল্লেখযোগ্য শায়েরগণ হলেন- ফকির গরীবুল্লাহ,  সৈয়দ হামজা, মোহাম্মদ দানেশ, মালে মুহম্মদ, আব্দুর  রহিম, আয়েজুদ্দিন।

প্র. পুঁথি সাহিত্য কী ?

উ. অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে রচিত ‘আরবি-ফারসি' শব্দ মিশ্রিত ইসলামী চেতনাসমৃদ্ধ সাহিত্যকে পুঁথি সাহিত্য বলে। পুঁথি সাহিত্যের প্রথম ও সার্থক কবি ফকির গরীবুল্লাহ।

প্র. বটতলার পুঁথি কী ?

উ. অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে রচিত 'আরবি-ফারসি' শব্দ  মিশ্রিত ইসলামী চেতনাসমৃদ্ধ সাহিত্য কলকাতার সন্তা  ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়ে এই ধারার কাব্য দেশময়  প্রচারিত হয়েছিল বলে একে 'বটতলার পুঁথি' নামে অভিহিত      করা হয়। রেভারেন্ড জে. লং এ শ্রেণির রচনাকে 'মুসলমানি  বাংলা সাহিত্য' বলে অভিহিত করেন।  √কবি কৃষ্ণরাম দাসের 'রায়মঙ্গল' (১৬৮৬) কাব্য পুঁথি  সাহিত্যের প্রথম কাব্য হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও এতে  পুঁথি সাহিত্যের সকল বৈশিষ্ট্য রক্ষিত হয়নি।

প্র. দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের প্রথম ও সার্থক কবি কে? [১৩তম বিসিএস লিখিত]

উ. ফকির গরীবুল্লাহ। 'আমীর হামজা' (১ম অংশ), 'জঙ্গনামা',  ‘ইউসুফ জোলেখা’, ‘সোনাভান', 'সত্যপীরের পুঁথি' তাঁর  উল্লেখযোগ্য মিশ্র ভাষারীতির কাব্য।

প্র. দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের কবি সৈয়দ হামজার কাব্যগুলো কী কী?

উ. ‘আমীর হামজা' (১৭৯৫- ২য় অংশ), ‘জৈগুনের পুঁথি' (১৭৯৭), ‘হাতেম তাই'।

প্র. টপ্পা গান কী?

উ. টপ্পা এক ধরনের গান। কবিগানের সমসাময়িককালে কলকাতা ও শহরতলিতে রাগ-রাগিনী সংযুক্ত এক ধরনের ওস্তাদি গানের প্রচলন ঘটেছিল, এগুলোই টপ্পা গান হিসেবে পরিচিত । থেকেই আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার সূত্রপাত বলে অনেকের ধারণা।

প্র. বাংলা টপ্পা গানের জনক কে?

উ. রামনিধি গুপ্ত। তাঁর বিখ্যাত গান-

'নানান দেশের নানান ভাষা

                     বিনে স্বদেশী ভাষা পুরে কি আশা

প্র. পাঁচালী গানের জনপ্রিয় কবি কে?

উ. দাশরথি রায়। তিনি দাশুরায় নামে খ্যাত ছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে পাঁচালী গান এদেশে জনপ্রিয় হয়েছিল।

প্র. শাক্ত পদাবলি কী?

উ. খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকে বাংলায় বৈষ্ণব ধর্মের  পাশাপাশি শাক্তধর্মের উদ্ভব ঘটে এবং একে ঘিরেই  শাক্তগীতি চর্চার একটি ক্ষীণ ধারার প্রচলন ঘটে। শাক্ত  পদাবলি শক্তি বিষয়ক গান। এই পদগুলিতে যেমন  লিরিকধর্মীতা আছে তেমনি আছে বাঙালির চিরন্তন  আকাঙ্ক্ষার কথা। এ পদাবলির প্রধান রস বাৎসল্য যা ১২ টি  পর্যায়ে এবং দুটি ধারায় বিভক্ত। রামপ্রসাদ সেন এ ধারার  শ্রেষ্ঠ কবি। তিনি শাক্ত পদাবলি বা শ্যামাসংগীত রচনায়  পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ভক্তিভাব এবং রাগ ও  বাউল সুরের মিশ্রণে এক ভিন্ন সুরের সৃষ্টি করেন, যা বাংলা  সংগীত জগতে 'রামপ্রসাদী সুর' নামে পরিচিত। নবদ্বীপের  রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধিতে ভূষিত  করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হলো- ‘বিদ্যাসুন্দর',  ‘কালীকীৰ্তন’ ।

gsjhdhddjhddhd hdjdhdhehdh


আধুনিক যুগ

আঠারো শতকের শেষার্ধে ও উনিশ শতকের শুরুতে রাষ্ট্রিক,  আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া সাহিত্যে  দৃশ্যমান হয় এবং বাংলা সাহিত্যে নতুন রাগিণীর সূচনা ঘটে।  পাশ্চাত্য শিক্ষা, সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রভৃতির সংস্পর্শে এসে  নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল আধুনিক যুগে। এ যুগের প্রতিভূ হলো  গদ্য সাহিত্য। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিষয় ছিল  ধর্ম অথবা রাজবন্দনা আর আঙ্গিকে ছিল কেবলই কবিতা। কিন্তু  আধুনিক যুগে গদ্যের বিকাশের সাথে সাথে বাংলা সাহিত্যের নব  নব শাখা বিস্তৃত হলো। এ সময়ে মানবতাবোধ, যুক্তিবাদ,  সমাজসচেতনতা ও  ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, গদ্যের প্রতিষ্ঠা,  স্বদেশপ্রেম, রোমান্টিক দৃষ্টি প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য সাহিত্যে মূর্ত হয়ে  উঠে।

প্র. আধুনিক যুগের সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য কী?

উ. আত্মচেতনা, জাতীয়তাবোধ ও মানবতার জয়জয়কার ।

প্র. সাহিত্যে আধুনিক যুগ কবে শুরু হয়?

উ. ১৮০১- বর্তমান। প্রকৃতপক্ষে আধুনিক যুগ শুরু হয় ১৮৬০ সালের দিকে মাইকেল মধুসূদনের আবির্ভাবের মাধ্যমে।


Jjdhdjejdbdh hdjejdhdhdj jfjurhdhhdjd


ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ

বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অবদান উ. বাংলায় কর্মরত ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্রিটিশ অফিসারদের  বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাংলায় কর্মরত ইস্ট-ইন্ডিয়া  কোম্পানির ব্রিটিশ অফিসারদের দেশিয় ভাষা শিক্ষা দেয়ার  উদ্দেশ্যে লর্ড ওয়েলেসলি কর্তৃক ৪ মে, ১৮০০ সালে ফোর্ট  উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা বিভাগ চালু হয়  ২৪ নভেম্বর, ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে  যোগ দেন শ্রীরামপুর মিশনের পাদ্রি এবং বাইবেলের অনুবাদক  বাংলায় অভিজ্ঞ উইলিয়াম কেরী। ১৮১৭ সালে হিন্দু কলেজ  প্রতিষ্ঠিত হলে এ কলেজের গুরুত্ব হ্রাস পায়। রাজা রামমোহন  রায়ের সাহিত্যিক প্রভাবে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা  বিভাগের মহিমা ধীরে ধীরে বিলীয়মান হয় এবং ১৮৫৪ সালে  লর্ড ডালহৌসির সময়ে কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়।

প্র. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কলেজটির নাম ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কেন? [২৮/২৭/১৮তম বিসিএস লিখিত]

 দেশিয় ভাষা শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে লর্ড ওয়েলেস্‌লি কর্তৃক  ৪ মে, ১৮০০ সালে কলকাতার লালবাজারে ফোর্ট  উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা বিভাগ চালু  হয় ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দে। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কমপ্লেক্সের  নামকরণ করা হয়েছে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের  নামে। আর এ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত  হয়েছিল বলে এর নাম হয় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।

প্র. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ চালুর মূল উদ্দেশ্য কী?

উ. বাংলায় কর্মরত ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্রিটিশ অফিসারদের বাংলা শিক্ষা দেয়া।

প্র. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কবে বন্ধ হয়?

উ. ১৮৫৪ সালে।

প্র. এ কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে কে যোগ দেন?

উ. শ্রীরামপুর মিশনের পাদ্রী ও বাইবেলের অনুবাদক উইলিয়াম  কেরী। বাংলা গদ্য বিকাশের যুগে ১৮০১-১৮১৫ সাল পর্যন্ত  মোট ৮ জন লেখক ১৩টি বাংলা গদ্য পুস্তক রচনা  করেছিলেন। এ ৮ জনের অধিকাংশই ফোর্ট উইলিয়াম  কলেজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

প্র. উইলিয়াম কেরী কী কী গ্রন্থ রচনা করেন?

উ. ‘কথোপকথন’ (১৮০১): এটি বাংলা ভাষার কথ্যরীতির প্রথম নিদর্শন। ‘ইতিহাসমালা’ (১৮১২): এটি বাংলা ভাষার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ' (১৮০১)।

প্র. কেরী সাহেবের মুন্সি কাকে বলা হতো?

উ. রামরাম বসু। কারণ, তিনি ১৭৯৩-১৭৯৬ পর্যন্ত উইলিয়াম কেরীকে বাংলা শেখান।

প্র. রামরাম বসুর সাহিত্যকর্মসমূহ কী কী?

‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র' (১৮০১); এটি বাঙালির লেখা বাংলা অক্ষরে প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ। বাংলা গদ্যে প্রথম জীবনচরিত। ‘লিপিমালা’ (১৮০২): এটি প্রথম বাংলা পত্রসাহিত্য।

Hdjddhdhsj hdjshdhjs jjdhdhdh


শ্রীরামপুর মিশন ও বাংলা ছাপাখানা

শ্রীরামপুর মিশন ভারতে খ্রিষ্টানদের নিজস্ব প্রথম প্রচার সংঘ।  ১৭৯৩ সালে উইলিয়াম কেরী খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলায়  আসেন। তিনি উইলিয়াম ওয়ার্ড ও জোশুয়া মার্শম্যানের  সহায়তায় ডেনমার্কের শাসনাধীন পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার  শ্রীরামপুরে ১০ জানুয়ারি, ১৮০০ সালে ‘শ্রীরামপুর মিশন'  প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ বছরের মার্চ মাসে শ্রীরামপুর মিশনের প্রেস  প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০৮ সালে মিশনের মালিকানা ডেনিশদের হাত  থেকে ইংরেজদের হাতে চলে যায়। শ্রীরামপুর মিশন থেকে  পরবর্তীতে ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত' সহ একাধিক পুস্তক প্রকাশিত  হয়। ১৮১৮ সালে এ মিশন থেকে ‘দিকদর্শন’ ও ‘সমাচার দর্পন'  নামে দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ১৮৪৫ সালে শ্রীরামপুর মিশন  বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু এ প্রেস ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল ।  ১৭৭৭ সালে জেমস্ হিকি নামের একজন ভাগ্যান্বেষী প্রথম  কাঠের প্রেস তৈরি করে বাংলায় মুদ্রণ ব্যবসা চালু করেন।  ওয়ারেন হেস্টিংস এর অনুরোধে ব্রাসি হ্যালহেড বাংলা  ব্যাকরণের বই লিখার পর ছাপার যন্ত্র বা বাংলা মুদ্রণ হরফ না  থাকায় হেস্টিংস তাঁর অধীনস্ত কর্মচারী চার্লস্ উইলকিন্সকে হরফ  তৈরির নির্দেশ দেন। উইলকিন্স পরে পঞ্চানন কর্মকারের  সহায়তায় বাংলা মুদ্রণ হরফ তৈরি করেন। ইংরেজরা ছাপাখানা  তৈরি করেছিলেন প্রথমত ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা শেখানোর  বই ও অভিধান প্রকাশ এবং দ্বিতীয়ত বাইবেলের অনুবাদ  প্রকাশের জন্য ।

প্র. ভারতীয় উপমহাদেশে কবে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. ১৪৯৮ সালে গোয়ায় (এটি ছিলো পর্তুগিজ ভাষার মুদ্রণযন্ত্র)।

প্র. কে, কবে ও কোথায় প্রথম বাংলা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত করেন?

উ. ১৭৭৮ সালে চার্লস্ উইলকিন্স হুগলিতে প্রথম বাংলা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি নিজেই বাংলা অক্ষরের নকশা তৈরি করেন বলে তাঁকে বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয়।

প্র. কে বাংলা অক্ষর খোদাই করেন?

উ. পঞ্চানন কর্মকার।

প্র. বাংলা মুদ্রণ যন্ত্র কবে আবিষ্কৃত হয়?

উ. ১৮০০ সালে উইলিয়াম কেরী জোশুয়া মার্সম্যানের সহযোগিতায় শ্রীরামপুর মিশনে মুদ্রণ যন্ত্র স্থাপন করেন।

প্র. শ্রীরামপুর মিশন থেকে কী কী প্রকাশিত হয়?

উ. গ্রন্থ: ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত' ইত্যাদি। পত্রিকা: ‘দিকদর্শন’, ‘সমাচার দর্পণ’ প্রভৃতি।

প্র. বাংলাদেশে কবে ও কোথায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. ১৮৪৭ সালে রংপুরে ‘বার্তাবহ যন্ত্র' নামে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্র. ঢাকায় কবে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. বাংলা প্রেস- ১৮৬০। এখান থেকেই দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ প্রকাশিত হয়।



Dhjdhdhdshhsjdh hdjsjhdhdhsb


হিন্দু কলেজ ও ইয়ংবেঙ্গল

বাংলা সাহিত্যের বিকাশে যেসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায়  এবং ডেভিড হেয়ারের সহায়তায় ২০ জানুয়ারি, ১৮১৭ সালে  প্রতিষ্ঠিত কলকাতার ‘হিন্দু কলেজ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ  কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কলকাতার মধ্যবিত্ত সমাজের সন্তানেরা  আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের যথার্থ সুযোগ লাভ করে। এ কলেজের  সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা প্রবর্তন করা। ১৫  এপ্রিল, ১৮৫৫ সালে হিন্দু কলেজের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং এর  স্থলাভিষিক্ত হয় প্রেসিডেন্সি কলেজ। ১৫ জুন, ১৮৫৫ সালে  প্রেসিডেন্সি কলেজের যাত্রা শুরু হয়। হেনরি লুই ভিভিয়ান  ডিরোজিও ছিলেন হিন্দু কলেজের তরুণ শিক্ষক এবং  ‘ইয়ংবেঙ্গল’ আন্দোলনের প্রবক্তা।

প্র. হিন্দু কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দ।

প্র. ইয়ংবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা/ মন্ত্রগুরু কে?

উ. হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৮২৬ সালে এ কলেজে যোগ দেন। ২৩ এপ্রিল, ১৮৩১ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ ডিরোজিওকে পদত্যাগ করতে পত্র দেন এবং ২৫ এপ্রিল, ১৮৩১ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। ডিরোজিও ২৬ ডিসেম্বর, ১৮৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

প্র. ইয়ংবেঙ্গল কারা?

উ. ইয়ংবেঙ্গল আত্মপ্রকাশ করে ১৮৩১ সালে। যুক্তি ও  মানবাধিকারের দীপ্ত বাণীর শপথে ইংরেজি ভাবধারাপুষ্ট  বাঙালি যুবক। ‘আস্তিকতা হোক, নাস্তিকতা হোক, কোন  জিনিসকে পূর্ব থেকে গ্রহণ না করা; জিজ্ঞাসা ও বিচার'- এ  মন্ত্রে যারা উজ্জীবিত ছিল তারাই ইয়ংবেঙ্গল। ডিরোজিওর  আদর্শে অনুপ্রাণিত ইয়ংবেঙ্গল ছাত্রগোষ্ঠী সর্বগ্রাসী ক্ষুধায়  আগ্রহী  ইউরোপীয় ভাবচিন্তাকে আত্মস্থ করেছিলেন। ছাত্র হিসেবে  সকলেই ছিলেন প্রতিভাবান, ইংরেজি শিক্ষার প্রতি প্রবল  এবং ধর্মীয় গোড়ামীর ব্যাপারে অত্যন্ত  সমালোচনামুখর। বিবিধ সংবাদপত্র পরিচালনা, পুস্তিকা  রচনা, শিক্ষা বিস্তার, বিতর্ক, রাজনৈতিক ও সামাজিক  সংস্কারে তারা ছিলেন তৎপর।

প্র. কারা ইয়ংবেঙ্গলের সদস্য ছিলেন?

উ. কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ, রামতনু  লাহিড়ী, প্যারীচাঁদ মিত্র, তারাচাঁদ চক্রবর্তী প্রমুখ। এরা  সবাই ছিলেন মুক্তচিন্তা দ্বারা উজ্জীবিত। হিন্দু সমাজে  বিদ্যমান সামাজিক ও ধর্মীয় কাঠামো এদেরকে বিদ্রোহী করে  তুলেছিল। প্রাচীন ও ক্ষয়িষ্ণু প্রথা তথা ধর্মীয় সংস্কার ও  সামাজিক শৃঙ্খলমুক্তির উল্লেখযোগ্য প্রয়াস হিসেবে  ইয়ংবেঙ্গলের সদস্যগণ গো-মাংস ভক্ষণ ও মদ্যপানে  আনন্দবোধ করতেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত হিন্দু কলেজের  ছাত্র থাকাবস্থায় ডিরোজিওর আদর্শে অনুপ্রাণিত হন।  সমাজের প্রচলিত কুসংস্কারকে পদানত করে মাইকেল  মধুসূদন দত্ত ইউরোপীয় চিন্তা-চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে  সমাজের ধর্মান্ধতা ও গোড়ামী দূর করার জন্য কলম ধরেন।  পরবর্তীতে ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীর সদস্যরা ডিরোজিওর আদর্শ  থেকে বিচ্যুত হলে তিনি নব্য ইয়ংবেঙ্গলদের অনাচার ও  উচ্ছৃঙ্খলতাকে কটাক্ষ করে ১৮৫৯ সালে রচনা করেন  বিখ্যাত প্রহসন ‘একেই কি বলে সভ্যতা'।

প্র. ইয়ংবেঙ্গলের মুখপত্র / পত্রিকা কী কী?

উ. ‘এনকোয়ার’ (সম্পাদক- কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়), ‘জ্ঞানান্বেষণ’ (সম্পাদক- দক্ষিণারঞ্জন মজুমদার)।


Hdudhfhejehdheihe bdhehhddheh


ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ

‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে  অসম্ভব' স্লোগানকে ধারণ করে চিন্তাচর্চা ও জ্ঞানের জন্য  আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি এবং আবহমানকালের চিন্তা ও জ্ঞানের সাথে  সংযোগ সাধনের লক্ষ্যে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন যুক্তিবাদী ও প্রগতিশীল শিক্ষক ও  ছাত্রের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন  কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ  শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ‘ঢাকা  মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্র. ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. ১৯১১ সালে ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। কিন্তু এতে মুসলমানদের গুরুত্ব উপেক্ষিত হওয়ায় ১৯২৬ সালে ঢাকায় ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্র. ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ এর মাধ্যমে কোন আন্দোলনের সুত্রপাত হয়?

উ. বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন।

প্র. ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর প্রধান লেখক কারা ছিলেন?

উ. কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হোসেন, কাজী মোতাহার হোসেন প্রমুখ।

প্র. এ সংগঠনের মুখপত্রের নাম কী ছিল?

উ. শিখা। এটি ১৯২৭ সালে আবুল হোসেনের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়।

প্র. শিখা পত্রিকার স্লোগান কী?

উ. ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব'।

প্র. ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন’ কী? [৩৬তম বিসিএস লিখিত]

উ. ১৯২৬ সালে ঢাকায় ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠার  মাধ্যমে এ আন্দোলনের সূত্রপাত। ব্রিটিশ শাসনামলে  মুসলমানেরা চিন্তা-চেতনায়, জ্ঞানে-গরিমায়, সামাজিক,  রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে হিন্দুদের থেকে  পিছিয়ে ছিল। এ অবস্থা থেকে মুসলিম সমাজকে জাগিয়ে  তোলার জন্য কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হোসেন, কাজী  মোতাহার হোসেন প্রমুখ ব্যক্তিগণ ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য  সমাজ' এর মাধ্যমে যে আন্দোলন শুরু করেন, তাই বুদ্ধির  মুক্তি আন্দোলন। ১৯২৭ সালে আবুল হোসেনের সম্পাদনায়  প্রথম প্রকাশিত হয় 'শিখা' পত্রিকা। এ পত্রিকা প্রকাশের  প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান মুসলমান সমাজের জীবন ও  চিন্তাধারার গতির পরিবর্তন সাধন, যা বুদ্ধির মুক্তি  আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য।

Hdjdyhdhdhdhd dbhdjdhdhhehddhhdhdhfhd


বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি

১৮৬০ সালের সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের অধীনে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক, বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থা বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। এটি এশিয়ার মানুষ ও প্রকৃতি বিষয়ে গবেষণার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্র. বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কবে ও কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায়। ভারত বিভাগের পর ৩ জানুয়ারি, ১৯৫২ সালে এর নামকরণ হয় 'পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি'। স্বাধীনতার পর নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি'।

প্র. এশিয়াটিক সোসাইটি কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উ. স্যার উইলিয়াম জোন্স।

প্র. বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির মূল উদ্দেশ্য কী?

উ. অতীতকাল হতে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সমাজ, দর্শন, অর্থনীতি প্রভৃতি

গবেষণামূলক জ্ঞান উপস্থাপন করা।

প্র. বাংলাপিডিয়া কবে প্রকাশিত হয়?

উ. ১৪ খণ্ডে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির উদ্যোগে প্রকাশিত হয়।

প্র. বাংলাপিডিয়া’র প্রধান সম্পাদক কে?

উ. অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম।

প্র. বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি'র প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন?

উ. সভাপতি: আবদুল হামিদ (১৯৫২-৫৩)। সাধারণ সম্পাদক: ড. আহমদ হাসান দানী (১৯৫২-৫৩)।

প্র. বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি'র বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে?

উ. সভাপতি: অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক: অধ্যাপক আহমেদ, এ জামাল সম্পাদক: অধ্যাপক এ. কে. এম গোলাম রব্বানী


Hfidhdhduhfhdurud hjduejddhud

| বাংলা একাডেমি

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং এদেশের মুসলিম

মধ্যবিত্তের জাগরণ ও আত্মপরিচয় বিকাশের প্রেরণায় বাংলা

একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ শতকের প্রথমদিকে বাঙালি

মুসলমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ সূচিত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া

সত্ত্বেও মুসলমানরা ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর।

এ অবস্থা অতিক্রম করার প্রয়াসে লেখক-পণ্ডিত-গবেষকদের দৃষ্টি

পড়ে বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি। ১৯২৫ সালে

কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ

শাস্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা

ভাষার গবেষণা ও সাহিত্যচর্চার প্রস্তাব করেন। বিভাগোত্তরকালে

১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য

সম্মেলনে মূল সভাপতির অভিভাষণে শহীদুল্লাহ একটি একাডেমি

গড়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের

ফলে বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির গবেষণা ও চর্চার কেন্দ্ররূপে

বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি আরও জোরালো হয়। অবশেষে

১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে (স্থাপিত-

১৯০৬) বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় যা উদ্বোধন করেন

যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার।

প্র. বাংলা ভাষা বিষয়ক বৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোনটি?

উ. বাংলা একাডেমি। এটি ৪টি বিভাগ নিয়ে গঠিত। এটিকে

বলা হয় 'জাতির মননের প্রতীক'।

প্র. বাংলা একাডেমি কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উ. ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ সালে।

বাংলা একাডেমি শব্দের বানান 'একাডেমী' থেকে

‘একাডেমি’তে রূপান্তরিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে।

প্র. কোন আইনে বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের

মর্যাদা পায় ?

উ. 'The Bengali Academy Act- 1957

প্র. বাংলা একাডেমি ভবনের পুরাতন নাম কী?

উ. বর্ধমান হাউস।

প্র. ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ কবে চালু হয়?

উ. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৬০

সাল থেকে ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ চালু করা হয়।

প্র. বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা কয়টি?

উ. ৬টি।

প্র. বাংলা একাডেমি'র বানান অভিধানের সম্পাদক কে?

উ. জামিল চৌধুরী।

Bsjhshsushdbdhdud hduejhdh


উপন্যাস

উপন্যাস সাহিত্যতত্ত্বের একটি পারিভাষিক শব্দ। উপন্যাস হচ্ছে

সমষ্টিবদ্ধ মানুষের এমন একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প যেখানে বিচিত্র সব

চরিত্র স্বমূর্তিতে অঙ্কিত হয়ে প্রতীকীভাবে জীবনের এক গভীর

সত্যের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে। সমসাময়িক সমাজের

রঙ্গরসাত্মক চিত্র বাংলা উপন্যাসের প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষ

প্রাধান্য লাভ করেছিল।


প্ৰ, কথা সাহিত্য কী?

উ. কথা সাহিত্য বলতে উপন্যাস ও ছোটগল্পকে বোঝায়।

উপন্যাসে ব্যক্তি জীবনের বৃহত্তর পরিসরের পরিচয় রূপলাভ

করে কিন্তু ছোটগল্পে কোনো চরিত্রের একটিমাত্র দিকের

প্রতিফলন ঘটে।

প্র. উপন্যাস কী?

উ. লেখকের জীবনদর্শন ও জীবনানুভূতিকে বাস্তবকাহিনী

অবলম্বনে শিল্পকর্মে রূপায়ণই উপন্যাস। বাংলা উপন্যাস

রচনার সূচনা হয় উনিশ শতকের প্রথমার্ধেই। যা ছিল

সামাজিক কাহিনী নির্ভর।

প্র. কে প্রথম উপন্যাস রচনার প্রাথমিক প্রচেষ্টা চালান?

উ. ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭৮৭-১৮৪৮)। তাঁর রচিত

উপন্যাস-

‘কলিকাতা কমলালয়' (১৮২৩):

এ গ্রন্থে তৎকালীন

কলকাতার জীবন ও অনাচারের চিত্র রূপায়িত হয়েছে। এ

গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে কিভাবে কলকাতায় আসতে হয় এবং

সেখানকার অলিগলি খুঁজে নিজের ভাগ্যের সন্ধান করতে হয়

তারই সত্যকথন।

‘নববাবু বিলাস’ (১৮২৫): এ গ্রন্থে কলকাতার বাবু সমাজের

চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।

‘নববিবি বিলাস’ (১৮৩২): এ গ্রন্থে রুচিহীন নীতিভ্রষ্টতার

চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। সেকালের বড় লোকেরা অনেকেই রক্ষিতা

নিয়ে বাইরে রাত্রি যাপন করত। ফলে তাদের স্ত্রীদের যে

পদস্খলন ও শোচনীয় পরিণতি হয়েছিল সেটাই এ গ্রন্থের বিষয়।

প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস কোনটি (অবাঙালি কর্তৃক)?

উ. হ্যানা ক্যাথরিন ম্যালেন্স রচিত ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ'

(১৮৫২)। এটি The Last Day of the Week নামে

ইংরেজি আখ্যানের ছায়াবলম্বনে রচিত। খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করায়

ফুলমনির সুখ এবং যথার্থ খ্রিস্ট ধর্মাচরণ না করায় করুণার

অগ্রদূত বাংলা

দুঃখভোগ, পরে মেম সাহেবের ঈশ্বর প্রেরিত সুপরামর্শে

করুণার সুমতি ও সুখের মুখদর্শন এ গ্রন্থের মূল কাহিনী।

এটি মূলত খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে রচিত হলেও এতে

উপন্যাসের কিছু লক্ষণ দেখা যায়।

প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস কোনটি (বাঙালি কর্তৃক)?

উ. প্যারীচাঁদ মিত্র (টেকচাঁদ ঠাকুর) কর্তৃক রচিত ‘আলালের

ঘরের দুলাল' (১৮৫৭)। এটি ইংরেজিতে "Spoiled

Child' নামে অনূদিত। এটি বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস

যা তিনি ‘টেকচাঁদ ঠাকুর' নামে ১৮৫৪ সাল থেকে

ধারাবাহিকভাবে ‘মাসিক' পত্রিকায় লিখতেন। এটি কথ্য

ভাষায় লিখিত যা ‘আলালি ভাষা' নামে পরিচিত।

প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি?

উ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)। এটি

বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। ষোড়শ শতাব্দীর

শেষ পর্যায়ে উড়িষ্যার অধিকার নিয়ে মোঘল ও পাঠানদের

মধ্যে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, তারই পটভূমিকা এ

উপন্যাসের উপজীব্য। দুর্গেশনন্দিনী অর্থ দূর্গ প্রধানের

কন্যা। অন্যতম চরিত্র: আয়েশা, তিলোত্তমা।

প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক কে?

উ. স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২)। তাঁর রচিত প্রথম

উপন্যাস 'দীপনির্বাণ” (১৮৭৬)।

প্র. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক কে?

উ. মীর মশাররফ হোসেন। তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস 'রত্নবতী'

(১৮৬৯)।

প্র. বাংলা সাহিত্যের ত্রয়ী উপন্যাসগুলো কী কী?

উ. কোনো লেখার তিনটি সিরিজ বা তিনটি পার্ট থাকলে তাকে

ত্রয়ী বলে। ইংরেজিতে একে বলে ট্রিলজি। এ তিনটি

সিরিজে ধারাবাহিকতা থাকে। আবার প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ

হিসেবে পাঠযোগ্য।


hdjhddjdhhdhs bdhshehgdhdhs 

নাটক

নাটক সাহিত্যতত্ত্বের একটি পারিভাষিক শব্দ। কোনো দ্বন্দ্বমূলক

আখ্যান যদি চরিত্রসমূহের সংলাপের মাধ্যমে মূর্ত হয়ে উঠে

তাহলে তাকে নাটক বলে। নাটকে কাহিনী থাকে তবে কাহিনীর

চেয়ে মুখ্য হয়ে ওঠে চরিত্রসমূহের দ্বন্দ্ব। কাহিনী, চরিত্র,

ঘটনাসমাবেশ ও সংলাপ হলো নাটকের মূল অঙ্গ।

প্র. নাটক কী?

উ. রঙ্গমঞ্চে মানুষের সুখ-দুঃখকে স্বাভাবিক অভিনয়ের মাধ্যমে

প্রকাশ করাকে নাটক বলে। নাটক সংলাপ ও অভিনয়ের

মাধ্যমে মঞ্চে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। এর অপর নাম

‘দৃশ্যকাব্য’ । গদ্যরীতির উৎকর্ষের পরে নাটকের যাত্রা।

প্র. নাটক কত প্রকার ও কী কী?

উ. বাংলা নাটককে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. রসপ্রধান:

ক. ট্রাজেডি (কৃষ্ণকুমারী)

গ. মেলোড্রামা (প্রফুল্ল

খ. কমেডি (চক্ষুদান)

ঘ. ফার্স/প্রহসন (একেই কি বলে সভ্যতা)

২. রূপপ্রধান :

ক. গীতিনাট্য (বাল্মীকি প্রতিভা)

খ. নৃত্যনাট্য (নটীর পূজা)

প্র. কলকাতার লালবাজারে ‘প্লে-হাউজ' এ প্রথম রঙ্গমঞ্চ তৈরি

হয় কবে?

উ. ১৭৫৩ খ্রিষ্টাব্দ ।

প্র. বাংলা নাটক প্রথম অভিনীত হয় কবে?

উ. ১৭৯৫ খ্রিষ্টাব্দ। হেরাসিম লেবেডেফ নামে রুশদেশীয় এক

ব্যক্তি প্রথম The Disguise ও Love is the best

Doctor নামে দুটি নাটক বাংলায় অনুবাদ করে এদেশীয়

পাত্র-পাত্রীর দ্বারা অভিনয় করান।

প্র. বাংলা নাটক প্রথম মঞ্চে অভিনীত হয় কবে?

উ. ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দ।

প্র. প্রথম বাংলা মৌলিক নাটক কোনটি?

উ. তারাচরণ শিকদার রচিত ‘ভদ্রার্জুন' (১৮৫২)। এ নাটকের

মূল বিষয় অর্জুন কর্তৃক সুভদ্রা হরণের কাহিনী। মহাভারত

থেকে কাহিনী সংগ্রহ করা হলেও বাঙালি সমাজের বাস্তব

পরিবেশ এতে অঙ্কিত হয়েছে। এটি বাঙালি কর্তৃক রচিত

প্রথম কমেডি নাটক।

প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও আধুনিক নাটক কোনটি?

উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘শর্মিষ্ঠা' (১৮৫৯)। এটি রচিত

হয়েছে পুরাণের কাহিনী অবলম্বনে।

প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক কোনটি?

উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘কৃষ্ণকুমারী' (১৮৬১)।

উইলিয়াম টডের ‘রাজস্থান' নামক গ্রন্থ থেকে মধুসূদন এ

নাটকের কাহিনী সংগ্রহ করেন। চরিত্র: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা,

ভীমসিং, বিলাসবতী।

প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক কমেডি নাটক কোনটি?

উ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘পদ্মাবতী' (১৮৬০)। এ

নাটকের ২য় অঙ্কের ২য় গর্ভাঙ্কে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ

প্রয়োগ করেন। এটি গ্রিক পুরাণের Apple of Discord

অবলম্বনে রচিত।

প্র. বাংলা ভাষার মুসলমান রচিত প্রথম নাটক কোনটি?

উ. মীর মশাররফ হোসেন রচিত 'বসন্ত কুমারী’ (১৮৭৩)। বৃদ্ধ

রাজা বীরেন্দ্র সিংহের যুবতী স্ত্রী রেবতী সপত্নী পুত্র নরেন্দ্র

সিংহকে প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখাত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু

করে। পরিণামে সমগ্র রাজ পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়,

এটিই এ নাটকের মূল বিষয়।

প্র. বাংলা ভাষায় মুসলমান চরিত্র অবলম্বনে প্রথম নাটক কোনটি?

উ. মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘জমীদার দর্পণ' (১৮৭৩)।

অত্যাচারী ও চরিত্রহীন জমিদার হায়ওয়ান আলীর অত্যাচার

এবং অধীনস্ত প্রজা আবু মোল্লার গর্ভবতী স্ত্রী নূরন্নেহারকে

ধর্ষণ ও হত্যার কাহিনী এর মূল বিষয়।

প্র. বাংলা নাট্যসাহিত্যে প্রথম ট্রাজেডি রচনার প্রচেষ্টা কোনটি?

উ. যোগেন্দ্রচন্দ্র

রচিত ‘কীর্তিবিলাস' (১৮৫২)।

সপত্নীপুত্রের প্রতি বিমাতার অত্যাচারের কাহিনী অবলম্বনে

এটি রচিত। বিভিন্ন চরিত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে ট্রাজেডির

রূপায়ণ এ নাটকের বৈশিষ্ট্য।

প্র. ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম নাটক কোনটি?

উ. দীনবন্ধু মিত্র রচিত ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০)। এতে মেহেরপুরের

কৃষকদের ওপর নীলকরদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে

উঠেছে। নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয় ঢাকায়। এ নাটকের

অভিনয় দেখতে এসে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মঞ্চের

অভিনেতাদের লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন। মাইকেল

মধুসূদন A Native ছদ্মনামে ইংরেজিতে The Indigo

Planting Mirror নামে অনুবাদ করেন। চরিত্র: নবীন

মাধব, তোরাপ।

প্র. বাংলা ভাষার প্রথম সাংকেতিক নাটক কোনটি?

উ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘শারদোৎসব’ (১৯০৮)।

প্র. ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য কোথায়?

উ. জীবনানুভূতির গভীরতায়।

Jghhyyh bhhfgu gugyjhggyh 












একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন