নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ব্যাখ্যা কর?

 নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী- ব্যাখ্যা

বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৭ অনুচ্ছেদ থেকে ৪৪ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকার সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। সংবিধান প্রণেতাগণ শুধু | বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্যই মৌলিক অধিকার প্রণয়ন করেননি, বরং বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকদের ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ ধারা সংযােজন করেছেন। মৌলিক অধিকার মােট ১৮ টি। এর মধ্যে ২৭ নং অনুচ্ছেদেদে রয়েছে- ‘আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।

 আইনের দৃষ্টিতে সমানঃ  আইন হলাে এমন কতকগুলাে নিয়মকানুন বা বিধিবিধানের সমষ্টি যা জনসাধারণের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য, রাষ্ট্রের সকলের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সকলের জন্যই সমানভাবে প্রয়ােগ করা যায়। আইনের দৃষ্টিতে সমতা বলতে বােঝায়, কোনাে ব্যক্তিই আইনের উর্ধ্বে নয়। আইনের চোখে সকলেই সমান। ক্ষমতা, পদমর্যাদা ও অবস্থা নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তি দেশের সাধারণ আইনের অধীন এবং সাধারণ আদালতের নিকট সকলকেই দায়িত্বশীল থাকতে হয়। আইনের চোখে সাধারণ নাগরিক এবং সরকারি কর্মচারীদের মাঝে কোনাে পার্থক্য নেই। আইন সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযােজ্য হবে।

আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারীঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা জন্মস্থানের কারণে কোনাে নাগরিকের প্রতি কোনােরূপ বৈষম্য করা যাবে না, এমনকি অধিকার। আদায় বা ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রেও। কোনাে নাগরিক যদি মনে করে রাষ্ট্র বা ব্যক্তি তার অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বা জটিলতা সৃষ্টি করছে, তার ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করছে, সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি তার অধিকার আদায়ে আইনের শরণাপন্ন হতে পারে এবং আইনের মাধ্যমে তার অধিকার ফিরে পেতে পারে- যদি তা ন্যায়সঙ্গত হয়। এক্ষেত্রে আদালত তথা বিচার বিভাগ ধনী-গরীব বিবেচনায় কাউকে প্রাধান্য দিবে না বা কারাে প্রতি অবমাননাকর কোনাে আচরণ করবে না।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন